,

অল্প বয়সে টাক পড়াই কি অক্ষয়ের স্বপ্ন ভাঙার কারণ?

সময় ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা বিনোদ খান্নার ছেলে অক্ষয় খান্নার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ‘হিমালয় পুত্র’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। এরপর তাকে দুই বছরেরও বেশি সময় চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। এরপর ২০০১ সালে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে আবারও ফিরে এসেছিলেন তিনি। এরপর আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু ভালো অভিনয় দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও অক্ষয়ের ক্যারিয়ার সেভাবে দাঁড়ায়নি বলিউডে। এমনিতে অক্ষয় খান্না মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন এবং সবসময় নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে আড়াল করেন। তবু কয়েকটি সাক্ষাৎকারে, তিনি তার চেহারা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এবং অকালে টাক পড়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন। তিনি এটাও বলেছিলেন বিষয়টা তাকে ঠিক কতটা প্রভাবিত করেছিল।
করণ জোহরের চ্যাট শো, কফি উইথ করণে র‌্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে অক্ষয় খান্নাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কার চুলের স্টাইল সবচেয়ে খারাপ। সেখানেই নিজের নাম নিয়েছিলেন অভিনেতা। যখন করণ তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন, অক্ষয় স্বীকার করেছিলেন যে তিনি তার চুল নিয়ে বিরক্ত নন এবং একইসঙ্গে এও বলেন, ‘কিছু লোকের পিঠের সমস্যা আছে, কিছু লোকের চোখের সমস্যা আছে, কিছু লোকের শ্রবণযন্ত্রের প্রয়োজন। এটি জীবনের একটি অংশ, আমি এটিকে এভাবেই দেখি’।
আরেকটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্ষয় খান্না আবারও তার অকাল টাক হয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। অভিনেতা বলেছিলেন, ‘এটা আমার সঙ্গে এত অল্প বয়সে ঘটতে শুরু করেছিল যে আমার জন্য এটি একজন পিয়ানোবাদকের আঙ্গুল হারানোর মতো ছিল’।
একই সাক্ষাৎকারে, অক্ষয় খান্না আরও বলেছিলেন, একজন অভিনেতা হিসাবে চেহারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুল পড়ে যাওয়া তাকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে তিনি অভিনেতা হিসাবে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। তার কথায়, ‘অভিনেতা হিসাবে আপনি নিজেকে যেভাবে দেখতে চান, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯-২০ বছর বয়সে, এটি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। এটা হৃদয়বিদারক, এবং এটা মানসিকভাবেও আপনাকে মেরে ফেলতে পারে। আমি মনে করি এটা একজন তরুণ অভিনেতা হিসেবে আমার আত্মবিশ্বাসকে অনেক বেশি প্রভাবিত করেছে। আমায় স্বীকার করতেই হবে তার চেয়েও বেশি মনের জোর হারিয়েছিলাম’।


     এই বিভাগের আরো খবর